৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে ৩০ হাজার টাকায় মীমাংসার চেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার,বিশ্বজিৎ মন্ডলঃ
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১৪ বছর বয়সী এক নাবালিকা কিশোরী কে ধর্ষণের পর ৩০ হাজার টাকা দিয়ে স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের কুমরী গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসীর মেয়ে ও কুলবাড়িয়া বিকেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ১৪বছর বয়সী শিক্ষার্থীকে ধর্ষন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় ভাবে গ্রামের প্রভাবশালীদের দিয়ে কুমরী গ্রামের আব্দুল গাফফারের ছেলে, ধর্ষক মিজানুর রহমান(৪০) ৩০হাজার টাকায় মিমাংসার চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ঝিকরগাছা থানা পুলিশ মিজানুর রহমান কে আটক করেছে।
ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় মীমাংসার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষক মিজানুর রহমান কে গাছের সাথে বেধে রাখে, যার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পড়ে বিষয়টি অবগত হলে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে রবিবার (০৯জুন) রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মিজানুর রহমান কে আটক করে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রীকে প্রায় কুরুচিপূর্ণ কথা বার্তা বলতো প্রতিবেশি মিজানুর। সম্পর্কে দাদা হওয়ায় মেয়ের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি গুরুত্ব দিতোনা। গত ০৬ জুন আসামী বাড়িতে তার স্ত্রী ও ছেলে না থাকায় সে সুযোগে ঘর ঝাড়ু দেয়ার কথা বলে কৌশলে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে নেয় অভিযুক্ত মিজানুর। পরে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে এবং কাওকে না জানাতে বলে। কিন্তু মেয়ে বাড়িতে এসে ঘটনা খুলে বললে, ধর্ষক মিজানুরের স্ত্রীকে এ বিষয় জানালে তার স্ত্রী বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকার অনুরোধ জানায়। পরিবার মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা চুপ থাকে। তবে বিষয়টি কানাঘুষার মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের প্রভাবশালীদের মাধ্যমে ধর্ষণের বিষয়টি শিকার করে ধর্ষক মিজানুর রহমান ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে সম্মতি জানায়। তবে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে বাদি হয়ে ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেন। মামলা নং ১২, তারিখ ১০/০৬/২০২৪ইং।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বিএম কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক আমি সহ আমার টিম অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ও আসামীকে আটক করে থানাতে নিয়ে আসি। আসামির বিরুদ্ধে ৯(১) ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩; জোর পূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে মামলা রুজু করে আসামীকে বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।